এক্সক্লুসিভ



রাজবংশী রায় অক্সফোর্ড

এপ্রিল / ২৭ / ২০২১


টিকার বিকল্প উৎস পেল বাংলাদেশ


313

Shares

বাইরে বিকল্প উৎস থেকে করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই বিকল্প টিকার জোগানদাতা দেশ রাশিয়া।

গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে অনুমোদিত টিকার সংখ্যা দাঁড়াল দুটি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা না পেয়ে বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় সরকার।

এরই অংশ হিসেবে প্রথমে রাশিয়ার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে দ্রুতই উৎপাদন শুরু হবে। এ জন্য দু'দেশের সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কবে নাগাদ বাংলাদেশে এই টিকার উৎপাদন শুরু হবে, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে। তবে উৎপাদন শুরুর আগে সরকার রাশিয়া থেকে টিকা কিনবে।

আগামী মে মাসের মধ্যে স্পুটনিক-ভি টিকার ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসবে। এদিকে, চীনের টিকা পেতেও সরকারিভাবে জোরালো চেষ্টা চলছে। এ জন্য চীনের নেতৃত্বে একটি প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের অনেকের ধারণা, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার বিকল্প হিসেবে রাশিয়া ও চীনের টিকা দিয়ে চাহিদা পূরণের পথে হাঁটছে সরকার।

তাদের অভিমত, সরকার টিকা পেতে সব উৎস খোলা রাখতে চায়। এ জন্য অক্সফোর্ড, চীন ও রাশিয়ার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি টিকা পেতেও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টিকা তিনটির সংরক্ষণ সুবিধা কম থাকলেও স্বল্প পরিমাণে হলেও ওই টিকা নিতে চায় সরকার। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার এক লাখ ডোজ আসার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের উদ্যোগ প্রমাণ করে, একটি কিংবা দুটি উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা নয়, টিকা সংগ্রহে সব পথ খোলা থাকবে। অর্থাৎ গুণগত মানসম্পন্ন টিকা হলে তা সংগ্রহে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সমকালকে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

দেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কবে নাগাদ দেশে রাশিয়ার টিকা উৎপাদন করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহ পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে উৎপাদনে যাওয়ার আগে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে রাশিয়া থেকে টিকা কেনা হবে। সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উদ্বৃত্ত আছে। সেই টিকা পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে।

টিকা পেতে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, এ উদ্যোগ সরকার আগেই নিতে পারত। মহামারির সময় একটি কিংবা দুটি দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা উচিত নয়। কারণ, সেই দেশগুলোতে সংকট তৈরি হলে তখন তারা জোগান অব্যাহত রাখতে পারবে না। ভারতের ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। আগে থেকে সরকারকে চীন ও রাশিয়ার টিকার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার টিকাটি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। তিনি বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। দ্রুত এই টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে। দেশে তিনটি ওষুধ কোম্পানির টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে টিকা তৈরি হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা যাবে। একই সঙ্গে চীনের টিকাও গ্রহণ করা উচিত।

তাহলে টিকা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি। রাশিয়ার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন :গতকাল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত কোনো বাধা রইল না। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অক্সফোর্ডের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অক্সফোর্ডের টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত। বিদেশি ওষুধ দেশে ব্যবহারের যে নীতিমালা আছে, তার সঙ্গে অক্সফোর্ডের টিকা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু রাশিয়ার টিকা অনুমোদনের আগে বিদেশি ওষুধ ব্যবহার-সংক্রান্ত আগের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়।

আগের নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সাতটি দেশ ও সংস্থার অনুমোদন নেই এমন কোনো ওষুধ বাংলাদেশ ব্যবহার করবে না। কিন্তু রাশিয়ার টিকাটির এই সাতটি দেশ ও সংস্থার অনুমোদন নেই। একইভাবে বিকল্প উৎস হিসেবে চীনের টিকা গ্রহণেও উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওই টিকাও একইভাবে দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন। মে মাসেই রাশিয়ার টিকার ৪০ লাখ ডোজ আসবে :রাশিয়ার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মে মাসে এই টিকার ৪০ লাখ ডোজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি কোম্পানি টিকা উৎপাদনে সক্ষম। ওই তিনটি কোম্পানির তালিকা রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করছে। একই সঙ্গে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকেও রাশিয়ার সঙ্গে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যোগাযোগ হচ্ছে।

রাশিয়া প্রযুক্তি সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। দেশেই এই টিকা উৎপাদন হবে। চীনের টিকার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, চীনের সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। ওই কাগজপত্র পেলে তা যাচাই-বাছাই করে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজেও একই টিকা হতে হবে :অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজগ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজে অন্য টিকা নিতে পারবেন না। দেশে টিকা ব্যবহারের সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞ কমিটি ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল গ্রুপের (নাইটেগ) পক্ষ থেকেও সরকারকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিটির এক সদস্য জানান, যিনি প্রথম ডোজে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজেও তাকে ওই টিকা নিতে হবে। অন্যথায় শারীরিক জটিলতা এবং মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে একই ধরনের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের জন্য দ্বিতীয় ডোজের মজুদ নেই। আবার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেও টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে মনে করেছিলেন, রাশিয়ার টিকা এলে ওই টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে এই সুপারিশ এলো।তবে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র বলছে, ভারত থেকে টিকা না এলে দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি থাকা ১৪ লাখের মতো ব্যক্তিকে টিকা ১২ সপ্তাহ পর দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আরও এক মাস সময় পাওয়া যাবে। তখন আর সমস্যা হবে না। কারণ, অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের পর চার থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। দেশে প্রথমে চার সপ্তাহ পর এবং পরে আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সুযোগ থাকায় সেটি কাজে লাগানো হবে।

স্পুটনিক-ভি নিরাপদ ও কার্যকরী- ল্যানসেট :যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফল প্রকাশের আগেই রাশিয়া টিকাটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। এ কারণে শুরুতে এই টিকা নিয়ে বিতর্ক ছিল। মানুষের ওপর দুই মাসেরও কম সময় পরীক্ষা চালানোর পর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই ওই টিকার অনুমোদন দেওয়া নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা যায়, স্পুটনিক-ভি টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ সুরক্ষা দিচ্ছে। ল্যানসেট বলছে, এ থেকে প্রতীয়মান হয়, এই টিকা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাণহানি থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো পরীক্ষিত টিকার তালিকায় স্পুটনিক-ভি যুক্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এবং বেলজিয়ামে উৎপাদিত জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার মতো একইভাবে কাজ করে স্পুটনিক-ভি। এই টিকা তৈরিতে ঠান্ডার জন্য দায়ী একটি ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে। মানবদেহের ক্ষতি করতে পারবে না, সেটিকে এমন একটি রূপ দেওয়া হয়।

এরপর করোনাভাইরাসের ক্ষুদ্র একটি অংশ তার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করানো হয়। এভাবে করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোড শনাক্ত করে মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং ওই ভাইরাসকে পরাজিত করার সক্ষমতা অর্জন করে। বড় ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি ছাড়াই এই প্রক্রিয়াটি ঘটে থাকে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা গ্রহণের পর শরীর করোনাভাইরাসকে লক্ষ্য করে অ্যান্টিবডি তৈরি করা শুরু করে। এতে করে করোনাভাইরাস আক্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। সুতরাং এটি পরিবহন ও সংরক্ষণ করা সহজ।

স্পুটনিক-ভির দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে ২১ দিন পর :অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের চার থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু স্পুটনিক-ভি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। রাশিয়ার পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, ভেনেজুয়েলা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরানসহ বিশ্বের ৬২টি দেশে স্পুটনিক-ভি টিকা মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। গত বছরের আগস্টে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া এই টিকা সে দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কোনো টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। স্পুটনিক-ভি টিকায়ও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে সেগুলো মৃদু।

টিকা গ্রহণকারীদের কেউ গুরুতর অসুস্থ কিংবা কারও মৃত্যু হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, টিকা পেতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের প্রধান লক্ষ্য জনগণের জীবন রক্ষা করা। এ জন্য রাশিয়া, চীনসহ টিকা উৎপাদনকারী সবগুলো দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রাশিয়ার টিকার একটি চালান মে মাসের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। চীনের টিকাও অনুমোদন হয়ে যাবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদন হলে তখন সংকট কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

এক্সক্লুসিভ