সিলেট প্রতিক্ষণ



আ:র

অক্টোবর / ০৩ / ২০২৩


সিলেটে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত সাজিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি!


150

Shares

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক মৃত ব্যক্তিকে জীবিত সাজিয়ে দান দলিল সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে দলিল লেখক নকুল রঞ্জন দে-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ (গোলাপগঞ্জ) মামলাটি করেন মো: জুম্মান আহমদ মিলাদ।

মিলাদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ উত্তর মাইজগ্রাম প্রকাশিত মোল্লাগ্রামের মৃত নজির আহমদ সেলিমের পুত্র। মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন-সিলেটের ঢাকা দক্ষিণ সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক (সনদ নং-৬৯) গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের নকুল রঞ্জন দে, একই গোলাপগঞ্জ থানার হেতিমগঞ্জের মৃত আতাউর রহমান ওরফে মিয়া ঠাকুরের পুত্র দিলাল আহমদ ও হেলাল আহমদ এবং একই গ্রামের মৃত ছবারক আলীর পুত্র আখলাছ মিয়া।

অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের গোলাগঞ্জ উপজেলার হাতিমনগর মৌজার এস এ খতিয়ান ৬১০ ও এসএ খতিয়ান ৫৯৬ এর ৬৮ ও ৬৯ দাগের ভূমির উত্তাধিকারী মালিক ছিলেন গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ উত্তর মাইজগ্রামের (মোল্লাপাড়ার) নজির আহমদ সেলিম ও ফয়েজ আহমদ। নজির আহমদ সেলিম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুর একমাস পর মৃত নজির আহমদ সেলিমকে জীবিত ও দাতা সাজিয়ে দলিল লেখক নকুলসহ দিলাল ও হিলালরা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের ঢাকাদক্ষিণ সাবেজিস্ট্রার অফিসে তাদের নামে একটি দান দলিল (নং ৫৬১/২০১৮) সৃজন করেন। পরবতীতে তারা সৃজিত এই দলিলকে আসল ও খাটি দাবি করে সজির আহমদ সেলিমের উত্তরাধিকারীগনের ভূমি দখল ও আত্মসাতের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মৃত নজির আহমদ সেলিমের উত্তারধিকারী এই জাল দলিলের জাবেদা নকল উঠান এবং এলাকায় বিচার প্রার্থী হন।

কিন্তু বর্ণিত আসামীরা বিচার নিষ্পত্তিতে না আসায় মরহুম নজির আহমদের পুত্র জুম্মান আহমদ মিলাদ ৭ সেপ্টেম্বর আদালেতে এ মামলা (গোলাগগঞ্জ দঃ মামলা নং- ৩৪৩/২০২৩) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সিলেটকে নির্দেশ দেন। আদালতের সেরেস্তাদার ও সিলেট জেলা বারের আইনজীবি এডভোকেট এম ফরিদ আহমদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট প্রতিক্ষণ