সিলেটে আবারও ভয় জাগাচ্ছে করোনা, বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনার থাবা নেই বাংলাদেশে। তবে এক মাস আগের চাইতে বর্তমানে সিলেটসহ সারা দেশে বাড়ছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। যা এ অঞ্চলে
নতুন করে ভয় জাগাচ্ছে। আর সে ভয়কে জয় করতে সিলেটে বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা।
এদিকে, সিলেটে প্লাজমার চাহিদা কিছুটা পূরণের চেষ্টা করছে ‘ইমারজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম’।
করোনা মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত অ্যান্টিবডি চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত। বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারকরাও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাজমা থেকে অ্যান্টিবডি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে।
সিলেটে এই প্লাজমার চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে ‘ইমারজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম’র প্রধান সমন্বয়ক মুক্তার হোসেন মান্না বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকে প্লাজমা কালেকশন করে আসছি। এ পর্যন্ত আমরা শতাধিক রোগীকে প্লাজমা কালেকশন করে দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম দিকে প্লাজমার চাহিদা একটু বেশি ছিলো। মাধ্যখানে কম ছিলো, তবে এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। প্রথমদিকে আমরা প্রতিদিন ১/২ টা রিকুয়েস্ট পেতাম। যেহেতু আমরা একমাত্র টিম, তাই আমাদের অনেক কষ্ট হতো প্লাজমা কালেকশন করতে। তারপরেও আমরা রোগীর পরিবারকে নিরাশ করিনি। আমরা সর্বদা চেষ্টা করেছি প্লাজমা কালেকশন করে দিতে।
মুক্তার হোসেন মান্না আরও বলেন, গত ৩-৪ মাসে আমরা প্রতিদিন ৫-৬ টা করে রিকুয়েস্ট পাচ্ছি এবং গত ১ সপ্তাহ থেকে আমাদের কাছে প্রতিদিনই অনেকগুলো রিকুয়েস্ট আসছে।
প্লাজমা টিমের সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নায়েক সফি আহমেদ বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে আমরা খাদ্যসামগ্রী, করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন সহ চিকিৎসাক্ষেত্রে প্লাজমা ম্যানেজ করে দিয়ে আসছি। বর্তমানে করোনা রোগী বৃদ্ধির ফলে প্লাজমার চাহিদাও বাড়ছে।