40
Sharesসিলেটে বছরের প্রথম দিনে নতুন ক্লাসের পাঠ্যবই হাতে পায়নি জেলার প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। জেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বইয়ের মোট চাহিদা ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি সেখানে প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ১১ লাখ ১৬ হাজার ৭২টি। ফলে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই প্রথমদিন বই হাতে পায়নি। এর মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির সবাই বই পেলেও চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির একজনও বই হাতে পায়নি। প্রাক প্রাথমিকে অনুশীলন খাতা চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া গেলেও ‘আমার বই’ মিলেছে ২০ শতাংশের মতো। সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, প্রাক প্রাথমিকে বই ও অনুশীলন খাতার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল ৬৮ হাজার ২৯৪টি করে। এর মধ্যে অনুশীলন খাতা চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া গেলেও বই পাওয়া গেছে মাত্র ১৪ হাজার ৬১৮টি। তবে প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী বই পাওয়া গেছে। প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৬টি বই, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৪ টি এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮২২টি বইসহ মোট বরাদ্দ চাওয়া হয় ১১ লাখ ১৬ হাজার ১২টি বই। চাহিদার পুরোটাই পাওয়ায় এই তিন শ্রেণির সব শিক্ষার্থী বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৭৮ টি এবং পঞ্চম শ্রেণির জন্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০টি বই বরাদ্দ চাওয়া হলেও বছরের প্রথমদিন পর্যন্ত একটি বইও পাওয়া যায়নি। ফলে এই দুটি শ্রেণির একজনও বছরের প্রথমদিনে নতুন বই হাতে পায়নি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত এরশেদ। তিনি দেশদর্পণ-কে বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়ায় প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিন নতুন ক্লাসের বই তুলে দেওয়া গেছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য যে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তার একটি বইও আমাদের সরবরাহ করা হয়নি। ফলে এই দুই শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীও বই পায়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রাক প্রাথমিকের অনুশীলন খাতা চাহিদা অনুযায়ী আমরা পেয়েছি। তবে ‘আমার বই’-এর বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল ৬৮ হাজার ২৯৪টি। তার বিপরীতে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত আমরা হাতে পেয়েছি মাত্র ১৪ হাজার ৬১৮টি বই।
ওয়াইএএফ/০১