27
Sharesগণ পরিষদের দাবি ভিত্তিহীন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘গণ পরিষদের প্রয়োজন আছে কি? বাংলাদেশে একটা সংবিধান আছে। সেই সংবিধানকে অ্যাবরোগেট (বাতিল) করা হয়নি। সুতরাং এই দাবিটাই একটা ভিত্তিহীন দাবি।’ দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে যত বিলম্বিত করা হবে ততই সমস্যাগুলো আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের কল্যাণ হবে না।’
রবিবার (৯ মার্চ) সিলেট নগরের আমান উল্লাহ কনভেনশন হলে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এসব কথা বলেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গণ পরিষদের প্রয়োজন আছে কি? বাংলাদেশে একটা সংবিধান আছে। সেই সংবিধানকে অ্যাবরোগেট (বাতিল) করা হয়নি। একটা সংবিধান বিদ্যমান থাকার পরে কন্সট্রিটিউট অ্যাসেম্বলি করার কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং এই দাবিটাই একটা ভিত্তিহীন দাবি।’
দ্রুত নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে সংসদ গঠিত হবে। বিদ্যমান যে সংবিধান আছে তাতে আমাদের যে ৩১ দফা দেওয়া আছে সেগুলোকে ইমপ্লিমেন্ট করতে চাইলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সেই সংশোধনগুলো করা হবে। এখানে এগুলো নির্বাচন থেকে পেছানোর জন্য বলা হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেবো না।’
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনুসের মতো একজন মানুষ, একজন বিশ^বরণ্যে মানুষ এই সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মানুষের প্রত্যাশা তার কাছে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন মানুষ দেখছে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের কোনো নিয়ন্ত্রণ হয়নি। আজকে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কে কি পোশাক পরবে তা নিয়ে এখন বলা হচ্ছে।’
এসব কর্মকাণ্ডের সংযোগে পতিতরা সুযোগ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব মিলে একটা ঘোলা পানি তৈরি করা হচ্ছে। যেটাতে জাতির কোন কল্যাণ হবে না। কল্যাণ হবে তাদের, যারা পতিত তারা গোলা পানিতে আবার ঢুকতে পাবে।’ একমাত্র পরিত্রাণ নির্বাচন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং একমাত্র পরিত্রাণ জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেওয়া। জনগণ তাদের মনোনীত প্রার্থীদের সংসদ নির্বাচন করে মনোনীত করে নেবে। সংবিধান সংশোধন করা দরকার হলে আমরা তো মানা করছি না। সংশোধন করে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।’
৩১ দফায় জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলি, রাষ্ট্র বিনির্মাণের ৩১ দফা। আমাদের ৩১ দফা তো আছেই। সুতরাং নির্বাচনকে যত বিলম্বিত করা হবে তত দেশের এসব সমস্যা বাড়বে। তাতে দেশের কল্যাণ হবে না। বরং আমরা যে ১৬ বছর কষ্ট করে একটা ফ্যাসিস্ট, খুনি একটা রিজিমকে উৎখাত করতে পেরেছি। সেই ফসল ঘরে তুলতে পারব না।’
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান প্রমুখ।
ওয়াইএফ/০১