263
Sharesসাম্প্রতিককালে দিরাই বাসস্টেশনে যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে দিরাই পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একমাত্র বাসস্টেশন পৌর বাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটে নাকাল পৌরবাসী এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার দিকে তাকিয়ে আছেন।
সরেজমিনে দিরাই বাসস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাসস্টেশন থেকে মদনপুর অভিমুখী রাস্তার একপাশ দখল করে সকাল থেকে রাত অবধি প্রায় ২১টি চেয়ার কোচ বাস ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় যাত্রী নেওয়ার জন্য পার্কিং করে রাখা আছে।
যার ফলে সরু এ সড়কে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, লাইটেস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, লেগুনা, রিকশা ও অটো রিকশাসহ প্রায় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে।
ছোট্ট এ সড়কে সাধারণ যানবাহনের চাপে এমনিতেই ব্যস্ত থাকে, তার উপর দিনের পুরো অংশই প্রায় ২১টি নাইটকোচ বাস সাড়িবদ্ধভাবে মূল সড়কে দাঁড়িয়ে থাকায় প্রতিটা মুহূর্ত যানজট লেগেই থাকে। জানা যায়, পৌর শহর থেকে বাসস্টেশন অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ বার বার নিলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
আর এর কারণ হিসেবে বাসস্টেশন ঘিরে অনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান। এদিকে, দিরাই বাসস্টেশন থেকে দিরাই সরকারি কলেজ গেইট পর্যন্ত দিরাই-শ্যামারচর সড়কের দু’ধারে সারিবদ্ধভাবে সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে একটির অধিক রিকশা বা অটোরিকশা চলাচল করতে পারে না ফলে মুহূর্তের মধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়াতে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে বাসস্টেশনের উভয় স্থানেই রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যার কারণে সাধারণ জনগণ অসহায়ত্ব বরং করে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় দিরাই বাসস্টেশনের যানজট নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়। সভায় বাসস্টেশন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবও উঠে আসে।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।