নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
নগরের মিরাবাজারের মেসার্স সিটি ফার্নিচারের স্বত্ত্বাধিকারী রাঙ্গা সিংহ ও তার স্বামী নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান দেশর্দপণকে জানান, ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে বাদীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে নেন বিজিত চৌধুরী। এছাড়া তারাপুরের ভূমি জোরপূর্বক বিক্রির টাকাসহ ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বিজিত চৌধুরী। তিনি অর্থমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, মোল্লা আবু কাওছার, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কখনো ক্রীড়া সংস্থার, কখনো মন্ত্রীদের বন্ধু, কখনো পত্রিকার সম্পাদকসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। পাওনা টাকার বিপরীতে বাদীকে চেকও দেন বিজিত। কিন্তু ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে চেক ফেরত আসে।’
নিজের উপর উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী। তিনি দেশর্দপণকে বলেন, ‘নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ একটা সময় আমার কর্মচারী ছিল। সে কোন একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দায়ের করেছে।’ তিনি বলেন, ‘নগেন্দ্র আমাকে তার ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার অনুরোধ করেছিল। পরে আমি তাকে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ২১ লাখ টাকা দিয়েছি। এগুলোর কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। এছাড়া তার একটি ব্যাংক লোনেও আমি গ্রান্টার হিসেবে আছি। কিন্তু এখন সে কোন একটি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। আমি এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।’
একপ্রশ্নের জবাবে বিজিত চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট শহরের কারো কাছ থেকে কোনদিন ১শ’ টাকাও চাঁদাবাজি করিনি। আর কারোর নাম ভাঙানোর তো প্রশ্নেই আসেনা।’
ইমা/আ-ইফ
স্বত্ব © ২০১৪ দেশ দর্পন