সাংবাদিকতার উপরে নেই কোনো লেখাপড়া বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করার অভিজ্ঞতা। করেন নি আঞ্চলিক বা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজও তবে নিজেকে কখনো জাতীয় দৈনিক নয়া যুগান্তরের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বা আবার কখনো সম্পাদক দাবি করছে।
জানাযায়, ভূয়া প্রেসকার্ড বিক্রি করে ব্যবসা করছে শাহীন নামে এক প্রতারক। নয়া যুগান্তরে অনলাইন সাইটে গিয়ে ভূয়া সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ঠিকানা বসিয়েছে সে। অনুসন্ধ্যানে যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শাহীন আহমদ ওরফে মো: শাহীন মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন তাহেরাবাদ চা বাগানের বাসিন্দা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে ভূয়ভীতি দেখিয়ে চলেন ভূয়া নামধারী এই সাংবাদিক।
উপজেলার চা বাগানের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রথমে সিভি নিয়ে থাকে সে পরে সিভি দেয়া আগ্রহীদের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পত্রিকা কথা বলে টাকা নেয় সে। তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে ২ হাজার ৫শত টাকা নিয়ে কার্ড দিবে বলে ঘুরিয়ে পরে একটা প্রেসকার্ড দেয়। ইমরান, মনসুর,ইকরাম নামে আরও কয়েক তরুণসহ সারাদেশে প্রেসকার্ড বিক্রি করে একইভাবে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক শাহীন।
এবিষয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শাহীন টি এন্ড মাল্টিশপ লিমিটেড নামে দোকানের সরকারি অনুমোদন ছাড়া দৈনিক নয়া যুগান্তর নামের অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকা কার্যালয় করে দোকানের আড়ালে প্রেসকার্ড করে বিক্রি করে। পত্রিকায় ব্যবস্থাপক সম্পাদক লেখা থাকলে নিজে সম্পাদক হিসাবে দাবী করেন এই প্রতারক।
প্রতারক শাহীনের সাথে কথা হলে জানায়, আমি নিজেই এই পত্রিকার সম্পদক। প্রেসকার্ড বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতারক জানায়, পত্রিকা ও অফিসের খরচ হিসেবে আমি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তিন হাজার করে টাকা নিয়ে থাকি। সে জানায়, কেউ নিউজ না পাঠালেই রুলস অনুযায়ী প্রতিনিধি বহিষ্কার করা হয়। নিজেকে এইচএসসি পাশ দাবী করলেও কোনো সার্টিফিকেট ও অফিস ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি প্রতারক শাহীন। তার দাবী এসব বিষয়ক সকল ডকুমেন্ট ঢাকা অফিসে রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়ন সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ জানান, সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকতা হলো রাষ্ট্রের উন্নয়ন অগ্রগতির অন্যতম সোপান। বিশ্বের কোথাও সংবাদপত্র বা সাংবাদিকতা ছাড়া এক মুহুর্ত ও কল্পনা করা যায় না। সংবাদপত্র রাষ্ট্র গড়ার কারিগর হিসেবে শত শত বছর ধরে স্বীকৃত। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে নানা আন্দোলন সংগ্রামে সংবাদপত্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ আজ চরম ভাবে অবহেলিত। কিছু সংখ্যাক শব্দ ব্যবসায়ী তাদের নিজেদের উন্নয়নের অন্যতম ধারক বাহক করে নিয়েছে। সংবাদপত্র ক্রমে আজ থেকে ১০/১৫ বছর পূর্নে সংবাদকর্মী বা গনমাধ্যমকর্মীরা সমাজের চোখে সম্মানের আসনে আসীন ছিলেন। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপট অনেটাই ভিন্ন কিছু কিছু সংবাদকর্মীদের আজ দেশের অধিকাংশ মানুষ ঘৃনার চোখে দেখেন। এর কারণ কথকথিত ভূইফোড় সংবাদপত্রে আইডি কার্ড প্রদান করছে অর্থে বিনীময়ে। এ থেকে পরিত্রান করা না গেলে সংবাদ পত্রে সুমহান মর্যাদা ও ঐতিহ্য পুরোপুরি ভূলষ্ঠিত হবে।
স্বত্ব © ২০১৪ দেশ দর্পন